বিশেষ প্রতিবেদক ॥
কক্সবাজারের উখিয়া কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনায় বিবরণ দিয়ে ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক বার্তা একাধিক অনলাইন সহ প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় ১৭ নভেম্বর ছাত্রনেতা সাইদুল আমিন টিপু’র বড় ভাই মাসুদ আমিন শাকিল কলেজের আইটি কর্মকর্তা ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যম সিএসবি২৪.কম এর সম্পাদক পলাশ বড়ুয়াকে অফিসে ঢুকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি ও আসা-যাওয়ার পথে অব্যাহত রাখায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষরিত ১৯ নভেম্বর ১ দিনের কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে গভর্ণিং বডির বরাবরে স্মারকলিপি দেয়।
জরুরী ভিত্তিতে ১৮ নভেম্বর বিকাল ৩টায় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গভর্ণিং বডির সদস্য ও ছাত্র প্রতিনিধিদের দাবীর প্রেক্ষিতে পরীক্ষা ফি: কমিয়ে ৫০০টাকা থেকে ৪৫০টাকা ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে ৫০০টাকা জরিমানা নির্ধারণ করা হলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মেনে নেয়। একই সাথে শিক্ষার্থীদের দাবী আদায় নিয়ে সৃষ্ট আন্দোলন ও সঙ্গত কারণে ২১, ২২ নভেম্বরের পরীক্ষা গুলো পরবর্তীতে দিন, তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাকী পরীক্ষা গুলো যথারীতি সম্পাদন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আলোচনাকলে অধ্যক্ষ ফজলুল করিম ১৯ নভেম্বর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির বিষয়টি উপস্থাপন করলে ছাত্রনেতা সাইদুল আমিন টিপু ও মাসুদ আমিন শাকিলের পিতা কলেজ গভর্ণিং বডির অভিভাবক সদস্য রুহুল আমিন মেম্বার আগামীতে এ ধরণের অপ্রীতিকর কিছু হবে না বলে কলেজের আইটি কর্মকর্তা পলাশ বড়ুয়া’র নিকট দু:খ প্রকাশ করলে কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৯ নভেম্বর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপাধ্যক্ষ আবদুল হক, গভর্ণিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি আদিল উদ্দিন চৌধুরী, অভিভাবক প্রতিনিধি এড. আবদুর রহিম, শিক্ষক প্রতিনিধি শাহ আলম, শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক তহিদুল আলম, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদুল আলম চৌধুরী, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অজিত কুমার দাশ, প্রধান সহকারী আবদুর রহিম, হিসাবরক্ষক জিয়াউল হক জিয়া, কলেজ কর্মচারী সাধন বড়–য়া, নিলু বড়ুয়া, শামশুল আলম, মনিন্দ্র বড়ুয়া, সুভাষ বড়ুয়া, নুরুল ইসলাম, হাফেজ আলী আহমদ, কবির আহমদ। ছাত্রদের মধ্যে সাইদুল আমিন টিপু, নুরুল আমিন সহ প্রমুখ।
পাঠকের মতামত